,

হবিগঞ্জে টমটমে আগের ভাড়া ৫ টাকা বহাল রাখার দাবী

জুয়েল চৌধুরী ॥ গরিবের গণপরিবহন খ্যাত টমটমে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং ভাড়া ৫ টাকা বহালের দাবি উঠেছে সর্বত্র। প্রতিদিনই স্বল্প দুরত্বে উঠানামার ক্ষেত্রে ১০টাকা করে নেয়ায় এ দাবি উঠে। সচেতন শহরবাসী বলছেন, হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে টমটম চলুক না হয় আগের ৫ টাকা ভাড়া বহাল করা হউক। জানা যায়, মহামারী এই করোনার সময়ে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া, স্প্রে ও মাস্ক ব্যবহার না করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে টমটমের বিরুদ্ধে। যাত্রীরা বলছেন, টমটম চালকরা মুখে মাস্ক ব্যবহার করলেও যাত্রী তুলছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই। দেখা গেছে ৩-৪ জনের স্থলে আগের মতোই যাত্রী নিচ্ছে তারা। এদিকে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, যে সকল টমটম চালক স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে আজ রবিবার থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং ভাড়া কমানোর বিষয়টি সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কমানো হবে। অভিযোগ উঠেছে অফিস, আদালতসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা খুলে দিলেও গাড়ি ভাড়া কমানো হয়নি। ফলে অতিরিক্ত ভাড়ার চাপ পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। সরেজমিনে দেখা গেছে, শায়েস্তানগর তেমুনিয়া বাজার থেকে চৌধুরী বাজার ও পইল সড়কে চলাচলরতে টমটমগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটছে। এদিকে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের শুরুতে সব ধরণের যানবাহন বন্ধ থাকলেও রিকশা ও টমটম চলাচল অব্যাহত থাকে। প্রশাসন টমটম মালিক সমিতির সাথে পরামর্শ করে টমটমের ভাড়া ৫টাকা থেকে ১ জুনের থেকে ১০ টাকা করে। প্রত্যেক টমটমে তিন থেকে ৩ জন করে যাত্রী নেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন। ছোট্ট হবিগঞ্জ শহরে অনুমোদন ও অনুমোদনবিহীন ৫ হাজারের মতো টমটম চলাচলের কারণে সবসময়ই লেগে থাকে যানজট। দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে করোনা আতংক থাকলেও দেখা যাচ্ছে হবিগঞ্জ শহরবাসীর অন্যতম আতংকের কারণ হচ্ছে শহরের যানজট। আর এর মূল কারণ হলো টমটম ও রিকশাসহ তিন চাকার যানবাহন।


     এই বিভাগের আরো খবর